জন মারে

ইংরেজ ক্রিকেটার

জন টমাস মারে, এমবিই (ইংরেজি: John Murray; জন্ম: ১ এপ্রিল, ১৯৩৫ - মৃত্যু: ২৪ জুলাই, ২০১৮) লন্ডনের উত্তর কেনসিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

জন মারে
১৯৭৫ সালের গৃহীত স্থিরচিত্রে জন মারে
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জন টমাস মারে
জন্ম(১৯৩৫-০৪-০১)১ এপ্রিল ১৯৩৫
উত্তর কেনসিংটন, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৪ জুলাই ২০১৮(2018-07-24) (বয়স ৮৩)
লন্ডন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪০২)
৮ জুন ১৯৬১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট২৭ জুলাই ১৯৬৭ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২১ ৬৩৫ ১৪৯
রানের সংখ্যা ৫০৬ ১৮,৮৭২ ২,২৮১
ব্যাটিং গড় ২২.০০ ২৩.৫৮ ১৯.৪৯
১০০/৫০ ১/২ ১৬/৮৪ –/৮
সর্বোচ্চ রান ১১২ ১৪২ ৭৫*
বল করেছে ৩৪১
উইকেট
বোলিং গড় ৪০.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/১০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৫২/৩ ১২৬৮/২৫৯ ১৬৪/৩৩
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন জন মারে

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

লন্ডনের নটিং হিল এলাকায় অবস্থিত সেন্ট জন্স চার্চ ইংল্যান্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। তরুণ বয়সে ফুটবলে উইং হাফ অবস্থানে খেলেছেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে এফএ ইয়ুথ কাপে ব্রেন্টফোর্ড যুবদলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান।[][]

কাউন্টি ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯৫২ থেকে ১৯৭৫ সময়কাল পর্যন্ত মিডলসেক্সের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, ইংল্যান্ডের পক্ষে ২১ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার।[] এ সময়ে ১৫২৭টি প্রথম-শ্রেণীর ডিসমিসাল ঘটিয়ে রেকর্ড গড়েন। পরবর্তীকালে ১৯৮৩ সালে বব টেলর এ রেকর্ডটি নিজের করে নেন।

১৯৫২ সালে মিডলসেক্সের পক্ষে উইকেট-রক্ষক হিসেবে প্রথম খেলতে নামেন। এ সময়ে তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৫৪ দিন। স্ট্যাম্পের পিছনে অবস্থান করে সবিশেষ দক্ষতা ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। এরপর থেকে ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা পেতে থাকেন।[] তার ব্যাটিংশৈলী বেশ উন্নতমানের ছিল। মিডলসেক্সের পক্ষে ছয়বার মৌসুমে সহস্রাধিক রান তুলেছেন।

টেস্ট ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ২১ টেস্টে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন।[] ৮ জুন, ১৯৬১ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জন মারের। ১৯৬৬ সালে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন।[] ১৯৬৭ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।

মাত্র দুইজন উইকেট-রক্ষকের একজন হিসেবে এক মৌসুমে এক হাজার বা ততোধিক রান ও একশত বা ততোধিক ডিসমিসালের ‘উইকেট-রক্ষকের ডাবলে’ স্বীয় নামকে সমুজ্জ্বল করে রেখেছেন স্ব-মহিমায়। তিনি একবাবার ও লেস অ্যামিস তিনবার এ কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ইংল্যান্ডের দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরূপে কাজ করেন ও মিডলসেক্স সাধারণ কমিটিতে অংশ নেন। তার শ্যালক অ্যালান মুলারি ইংরেজ ফুটবলার ছিলেন।

২৪ জুলাই, ২০১৮ তারিখে ৮৩ বছর বয়সে অসুস্থ অবস্থায় লর্ডসে জন মারের দেহাবসান ঘটে। এ সময় তিনি মিডলসেক্সের খেলা দেখছিলেন।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Middlesex and England keeper John Murray dies"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৮ 
  2. Haynes, Graham (১৯৯৮)। A-Z Of Bees: Brentford Encyclopaedia। Yore Publications। পৃষ্ঠা 37–38। আইএসবিএন 1 874427 57 7 
  3. White, Eric, সম্পাদক (১৯৮৯)। 100 Years Of Brentford। Brentford FC। পৃষ্ঠা 211। আইএসবিএন 0951526200 
  4. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 125আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  5. John Murray: Ex-England & Middlesex wicketkeeper dies aged 83

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা