বিষয়বস্তুতে চলুন

মৃত্যু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: pnb:مرن
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্রে সংশোধন
 
(৪৫ জন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত ৭৮টি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{রচনা সংশোধন}}
[[চিত্র:SkullFromStillLifeWithASkull.jpg|300 px|thumb|right|মৃত্যুর প্রতীকী চিত্র ]]
[[চিত্র:Skullclose.jpg|ডান|থাম্ব|250x250পিক্সেল|মৃত মানুষের খুলি, মৃত্যুর প্রতীকী চিত্র]]
[[চিত্র:The Anatomy Lesson.jpg|300px|thumb|right|রেম্ব্রানটের ছবিতে ময়না-তদন্ত]]
'''মৃত্যু''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষায়]]: Death) বলতে [[জীবন|জীবনের]] সমাপ্তি বুঝায়। [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানের]] ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা [[জীব|জীবের]]) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে। অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা (state, condition) যখন সকল শারিরীক কর্মকাণ্ড যেমন [[শ্বসন]], খাদ্য গ্রহণ, [[পরিচলন]], ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়।
'''মৃত্যু''' হল জীবন প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ অবসান যা সমস্ত জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে ঘটে। মৃত্যু বলতে [[জীবন|জীবনের]] সমাপ্তিকে বুঝায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=en|শিরোনাম=Definition of death {{!}} Dictionary.com|ইউআরএল=https://www.dictionary.com/browse/death|সংগ্রহের-তারিখ=2022-12-16|ওয়েবসাইট=www.dictionary.com}}</ref> [[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানের]] ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা [[জীব|জীবের]]) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে।<ref>http://www.dictionary.com/browse/death?s=t</ref> অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন সকল শারীরিক কর্মকাণ্ড যেমন [[শ্বসন]], খাদ্য গ্রহণ, [[পরিচলন]], ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়।


মৃত্যু বিভিন্ন স্তরে ঘটে থাকে। সোমাটিক মৃত্যু হল সামগ্রিকভাবে কোন জীবের মৃত্যু। নির্দিষ্ট অঙ্গ, কোষ বা কোষাংশের মৃত্যুর আগেই এটি ঘটে। এতে হৃৎস্পন্দন, শ্বসন, চলন, নড়াচড়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সোমাটিক মৃত্যু ঠিক কখন ঘটে তা নির্ণয় করা দুরূহ, কেননা কোমা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, এবং ঘোর বা ট্রান্সের মধ্যে থাকা ব্যক্তিও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকেন।
মৃত্যু বিভিন্ন স্তরে ঘটে থাকে। সোমাটিক মৃত্যু হল সামগ্রিকভাবে কোন জীবের মৃত্যু। নির্দিষ্ট [[অঙ্গ]], [[কোষ (জীববিজ্ঞান)|কোষ]] বা কোষাংশের মৃত্যুর আগেই এটি ঘটে। এতে হৃৎস্পন্দন, শ্বসন, চলন, নড়াচড়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও [[মস্তিষ্ক|মস্তিষ্কের]] কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সোমাটিক মৃত্যু ঠিক কখন ঘটে তা নির্ণয় করা দুরূহ, কেননা কোমা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং ঘোর বা ট্রান্সের মধ্যে থাকা ব্যাক্তিও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকেন।


সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে বলে Algor mortis। মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা পরে কংকালের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, যাকে বলে Rigor mortis, এবং এটি তিন-চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেয়া দেহের নীচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে Livor mortis; রক্ত জমা হবার কারণে এমন হয়। মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী এনজাইমব্যাক্টেরিয়া।
সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে এলগর মর্টিস বলে। মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ [[ঘণ্টা (সময়)|ঘণ্টা]] পরে কঙ্কালের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, একে রিগর মর্টিস বলে, যা তিন থেকে চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেয়া দেহের নিচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে লিভর মর্টিস; [[রক্ত]] জমাট বাঁধার কারণে এমন হয়। মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী [[উৎসেচক]][[ব্যাক্টেরিয়া]]।


দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষগুলি ১৫ মিনিট এবং বৃক্কেরগুলি প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষ ১৫ মিনিট এবং বৃক্কের কোষ প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।


== নির্ণয় ==
{{যান্ত্রিক অনুবাদ|3=অনুচ্ছেদ}}
[[চিত্র:All_causes_world_map-Deaths_per_million_persons-WHO2012.svg|থাম্ব|[[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা]] ২০১২ সালে প্রতি মিলিয়ন লোকের মৃত্যুর সংখ্যা অনুমান করেছে{{সূত্র শুরু|3}}{{Legend|#ffff20|১,০৫৪–৪,৫৯৮}}{{Legend|#ffe820|৪,৫৯৯–৫,৫১৬}}{{Legend|#ffd820|৫,৫১৭–৬,২৮৯}}{{Legend|#ffc020|৬,২৯০–৬,৮৩৫}}{{Legend|#ffa020|৬,৮৩৬–৭,৯১৬}}{{Legend|#ff9a20|৭,৯১৭–৮,৭২৮}}{{Legend|#f08015|৮,৭২৯–৯,৪০৪}}{{Legend|#e06815|৯,৪০৫–১০,৪৩৩}}{{Legend|#d85010|১০,৪৩৪–১২,২৩৩}}{{Legend|#d02010|১২,৩৩৪–১৭,১৪১}}{{সূত্র শেষ}}]]

=== সংজ্ঞায়নের সমস্যা ===
[[চিত্র:StillLifeWithASkull.jpg|alt=Symbols of death in a painting: it shows a flower, a skull and an hourglass|থাম্ব| ফিলিপ ডি চ্যাম্পাইগেনের ১৭তম শতাব্দীর এই চিত্রকলায় একটি ফুল, একটি খুলি এবং একটি বালি ঘড়ির দ্বারা [[জীবন]], মৃত্যু এবং সময়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে]]
মৃত্যুর ধারণাটি বুঝতে হলে মৃত্যুর ঘটনাটি বোঝা জরুরি।<ref name="MohammadSamir">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Concepts of Death: A key to our adjustment|শেষাংশ=Samir Hossain Mohammad|শেষাংশ২=Gilbert Peter|বছর=2010}}</ref> মৃত্যু সম্পর্কে বহুবিধ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণা চলমান আছে। জীবন রক্ষাকারি চিকিৎসার উন্মেষ এবং মৃত্যুকে সংজ্ঞায়িত করার নানামুখি মেডিকেল ও আইনি মানদণ্ড মৃত্যুর একটি সমন্বিত সংজ্ঞা স্থাপনে বাঁধার সৃষ্টি করেছে।

মৃত্যুকে সংজ্ঞায়িত করার একটি বড় সমস্যা হলো, একে জীবন্ত অবস্থা হতে পৃথক করা। সময়ের যেকোনো মুহূর্তে, মৃত্যুকে এমন মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করা যায় যখন জীবন শেষ হয়ে আসে। কিন্তু কখন মৃত্যু হয়েছে সেটি বের করা কঠিন কারণ জীবনের সমাপ্তি সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে একই সময়ে ঘটে না।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2016-04-01|ভাষা=en|শিরোনাম=Crossing Over: How Science Is Redefining Life and Death|ইউআরএল=https://www.nationalgeographic.com/magazine/article/dying-death-brain-dead-body-consciousness-science|সংগ্রহের-তারিখ=2022-12-16|ওয়েবসাইট=Magazine}}</ref> তাই মৃত্যুর সংজ্ঞায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজন জীবন ও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট তাত্ত্বিক সীমানা। এই কাজটি কঠিন, কারণ জীবন কাকে বলে সে সম্পর্কে অনেক মতভেদ আছে।

সচেতনতার ভিত্তিকে মৃত্যুকে জীবনকে সংজ্ঞায়ক করা সম্ভব। যখন সচেতনতা লোপ পায়, একটি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু এই ধারনার একটা সমস্যা হলো, পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা জীবন্ত কিন্তু সম্ভবত সচেতন নয় (যেমন, এককোষী প্রাণী)। মৃত্যুকে সংজ্ঞায়ন করার আরেকটি সমস্যা হলো সচেতনতার সংজ্ঞা নিয়ে। সচেতনতার বিভিন্ন রকম সংজ্ঞা আধুনিক সময়ের বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী এবং দার্শনিকরা প্রদান করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় শাস্ত্র, যেমন [[আব্রাহামীয় ধর্ম|আব্রাহামীয়]] ও [[ভারতীয় ধর্ম|ভারতীয়]] ধর্মসমূহ, মনে করে মৃত্যুতে সচেতনতা লোপ পায় না। কিছু কিছু সংষ্কৃতিতে মৃত্যুকে একটি একক ঘটনার চেয়ে একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রক্রিয়া বলতে এক আধ্যাত্নিক অবস্থা থেকে অন্য আধ্যাত্নিক অবস্থায় রূপান্তর বোঝানো হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Celebrations of Death: The Anthropology of Mortuary Ritual|শেষাংশ=মেটকালফ|প্রথমাংশ=পিটার|শেষাংশ২=হান্টিংটন|প্রথমাংশ২=রিচার্ড|বছর=১৯৯১|প্রকাশক=ক্যামব্রিজ প্রেস}}</ref>

=== লক্ষণ ===
উষ্ণ রক্তের প্রাণী আর বেঁচে নেই এমন মৃত্যুর লক্ষণ বা শক্তিশালী ইঙ্গিতগুলি হলো:

* শ্বাসযন্ত্র বিকল ([[শ্বাসক্রিয়া|শ্বাস]]-প্রশ্বাস না থাকা)
* [[হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া]] ([[হৃৎস্পন্দনের হার|নাড়ি নেই]])
* [[মস্তিষ্কের মৃত্যু]] (কোনও নিউরোনাল কার্যকলাপ নেই)

মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে যে পর্যায়গুলি ঘটে থাকে সেগুলি হলো:

* প্যালোর মর্টিস, ফ্যাকাশে যা মৃত্যুর ১৫-১২০ মিনিটে ঘটে
* এলগর মর্টিস, মৃত্যুর পরে শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। চারপাশের তাপমাত্রার সাথে মিল না পাওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত অবিচলিতভাবে পতন হয়
* রিগর মর্টিস, লাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি শক্ত হয়ে যায় (ল্যাটিন ''কঠোরতা'' ) এবং সরানো বা চালিত করা কঠিন হয়ে পড়ে
* লিভর মর্টিস, শরীরের নিম্ন (নির্ভরশীল) অংশে রক্তের স্থিরতা
* পিউট্রেফ্যাকশন, পচনের প্রথম লক্ষণ
* পচন, পদার্থের সরল রূপগুলিতে হ্রাস পাবার একটি ব্যবস্থা, একটি শক্তিশালী, অপ্রীতিকর গন্ধ ছড়ায়
* কঙ্কালায়ন, পচনের সমাপ্তি, যেখানে সমস্ত নরম টিস্যুগুলি পচে যায়, কেবল কঙ্কাল থাকে
* [[জীবাশ্ম]], কঙ্কালের প্রাকৃতিক সংরক্ষণ খুব দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত

=== আইনী ===
কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর আইনী কার্যক্রম থাকতে পারে যা বিভিন্ন বিচার বিভাগের মধ্যে পৃথক পৃথক হতে পারে। একটি মৃত্যুর সনদপত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রদান করা হয়, সেট কোনও ডাক্তার দ্বারা, বা কোনও প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বারাও হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে কোনও ডাক্তার মৃত্যুর ঘোষণার দেবার পরে তার জারি করা যেতে পারে।

=== ভুল নির্ণয় ===
[[চিত্র:Wiertz_burial.jpg|থাম্ব|আন্টোইন ওয়েয়ার্টজের জীবিত সমাহিত চিত্রকর্ম]]
চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করার পরে মৃত ব্যক্তি জীবিত হওয়ার ঘটনা রয়েছে। অনেক সময় কয়েকদিন পরে তাদের কফিনে, বা যখন শ্বসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে তার আগে তারা জীবিত হয়ে উঠে। আঠারো শতকের মাঝামাঝি থেকে জনসাধারণের মাঝে ভুল করে জীবিত সমাধিস্থ করার ভয় কাজ করে,<ref name="Bondeson 2001">{{Harvard citation no brackets|Bondeson|2001}}</ref> এবং মৃত্যুর লক্ষণগুলির অনিশ্চয়তা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। কবর দেওয়ার আগে জীবনের লক্ষণগুলির পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যার মধ্যে ছিল মৃতদেহের মুখে ভিনেগার এবং মরিচ ঢেলে দেয়া থেকে শুরু করে পায়ে বা মলদ্বারে লাল গরম পোকার প্রয়োগ করার মত পরীক্ষা।<ref name="Bondeson 2001"/> ১৮৯৫ সালে লেখক চিকিত্সক জে সি ওসলে দাবি করেছিলেন যে প্রতি বছর [[ইংল্যান্ড]] এবং [[ওয়েল্‌স্‌|ওয়েলসে]] প্রায় ২,৭০০ জন ব্যক্তিকে অকালে কবর দেওয়া হয়েছিল, যদিও অন্যরা এই অনুমানটি ৮০০ এর কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন ।<ref name="Bondeson 2001"/>

== কারণসমূহ ==
{{যান্ত্রিক অনুবাদ|3=অনুচ্ছেদ}}
[[উন্নয়নশীল দেশ|উন্নয়নশীল দেশগুলিতে]] মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ হল [[সংক্রমণ|সংক্রামক রোগ]] । [[উন্নত দেশ|উন্নত দেশগুলির]] প্রধান কারণ হ'ল এথেরোস্ক্লেরোসিস ( [[রক্ত সংবহনতন্ত্রের রোগ|হৃদরোগ]] এবং [[স্ট্রোক]] ), [[ক্যান্সার]] [[অতিস্থূলতা|এবং স্থূলতা]] এবং [[জরাগ্রস্ততা|বার্ধক্যজনিত]] অন্যান্য রোগ। অত্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে, উন্নত বিশ্বে মৃত্যুর সর্বাধিক একিভূত কারন হ'ল জৈবিক বার্ধক্য,<ref name="doi10.2202/1941-6008.1011">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sens.org/files/pdf/ENHANCE-PP.pdf|শিরোনাম=Life Span Extension Research and Public Debate: Societal Considerations|শেষাংশ=Aubrey D.N.J|প্রথমাংশ=de Grey|বছর=2007|citeseerx=10.1.1.395.745|ডিওআই=10.2202/1941-6008.1011|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20161013163622/http://www.sens.org/files/pdf/ENHANCE-PP.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=13 October 2016|সংগ্রহের-তারিখ=20 March 2009}}</ref> যার ফলে বার্ধক্যজনিত রোগ হিসাবে পরিচিত বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। [[হোমিওস্ট্যাটিস|এই অবস্থাগুলি হোমিওস্টেসিসের]] ক্ষতির কারণ যার ফলে [[হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়া|কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট]], [[অক্সিজেন]] এবং পুষ্টির সরবরাহ হ্রাস পায়, [[মানব মস্তিষ্ক|মস্তিষ্ক]] এবং অন্যান্য [[কলা (জীববিজ্ঞান)|টিস্যুগুলির]] অপরিবর্তনীয় অবনতি ঘটে। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫০,০০০ মানুষ মারা যায়, এদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বয়স-সম্পর্কিত কারণে মারা যায়। শিল্পোন্নত দেশগুলিতে, এই অনুপাত ৯০% এর কাছাকাছি, যা অনেক বেশি। উন্নত চিকিৎসা ক্ষমতার কারনে, মরণকে সহজে ব্যবস্থাপনা করে দীর্ঘায়িত জীবন লাভ সহজ হয়েছে। একসময় সাধারণভাবে গৃহে মৃত্যুই ছিল সাধারণ কিন্তু এখন উন্নত বিশ্বে তা খুবই বিরল।
[[চিত্র:Lewis_Hine,_Newsies_smoking_at_Skeeter's_Branch,_St._Louis,_1910.jpg|থাম্ব| আমেরিকান শিশুরা ১৯১০ সালে ধূমপান করছে। তামাক ধূমপানের কারণে বিংশ শতাব্দীতে আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন লোক মারা গিয়েছিল।<ref name="who">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.who.int/tobacco/mpower/mpower_report_full_2008.pdf|শিরোনাম=WHO Report on the Global Tobacco Epidemic, 2008|বছর=2008|প্রকাশক=[[World Health Organization|WHO]]|সংগ্রহের-তারিখ=26 December 2013|lay-url=http://www.abc.net.au/news/stories/2008/02/08/2157587.htm|lay-date=8 February 2008}}</ref>]]
[[উন্নয়নশীল দেশ|উন্নয়নশীল দেশগুলিতে]], নিকৃষ্ট স্যানিটারি ব্যবস্থা এবং আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির [[উন্নত দেশ|অভাবে উন্নত দেশগুলির]] [[সংক্রমণ|তুলনায় সংক্রামক রোগগুলির দ্বারা]] মৃত্যুর হার বেশি। এর মধ্যে একটি রোগ হল [[যক্ষ্মা]], একটি ব্যাকটিরিয়া রোগ যা ২০১৫ সালে ১.৮ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছিল।<ref name="WHO2004data">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs104/en/index.html|শিরোনাম=Tuberculosis Fact sheet N°104 – Global and regional incidence|তারিখ=March 2006|প্রকাশক=[[World Health Organization|WHO]]|সংগ্রহের-তারিখ=6 October 2006}}</ref> [[ম্যালেরিয়া]] প্রতিবছর প্রায় ৪০০-৯০০ মিলিয়ন জ্বরের কারন এবং ১–৩ মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.usaid.gov/our_work/global_health/mch/ch/techareas/malaria_brief.html|শিরোনাম=USAID's Malaria Programs|শেষাংশ=Chris Thomas, Global Health/Health Infectious Diseases and Nutrition|তারিখ=2 June 2009|প্রকাশক=Usaid.gov|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20040126050719/http://www.usaid.gov/our_work/global_health/mch/ch/techareas/malaria_brief.html|আর্কাইভের-তারিখ=26 January 2004|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=19 September 2016}}</ref> [[আফ্রিকা|আফ্রিকাতে]] [[এইচআইভি/এইডস|এইডসে]] মারা যাওয়ার সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ৯০-১০০ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.theguardian.com/world/2005/mar/04/aids|শিরোনাম=Aids could kill 90 million Africans, says UN|তারিখ=4 March 2005|কর্ম=[[The Guardian]]|সংগ্রহের-তারিখ=23 May 2010|অবস্থান=London}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.washingtonpost.com/wp-dyn/content/article/2006/06/03/AR2006060300229.html|শিরোনাম=AIDS Toll May Reach 100 Million in Africa|শেষাংশ=Terry Leonard|তারিখ=4 June 2006|কর্ম=[[The Washington Post]]|সংগ্রহের-তারিখ=26 December 2013}}</ref>

জিন জিগলারের ( [[জাতিসংঘ|খাদ্য অধিকারের পক্ষে জাতিসংঘের]] স্পেশাল রিপোর্টার, ২০০০ - মার্চ ২০০৮) মতে [[অপুষ্টি|, ২০০৬ সালে অপুষ্টির]] কারণে মৃত্যুহার মোট মৃত্যুর হারের ৫৮% ছিল। জিগলার বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী প্রায় সব মিলিয়ে ৬২ মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন কারণে মারা গিয়েছিল এবং তাদের মধ্যে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের বা পুষ্টি ঘাটতির কারণে ৩৬ মিলিয়নেরও বেশি লোক ক্ষুধা বা পুষ্টিহীনতা জনিত রোগে মারা গিয়েছিল।

[[বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা|বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি]] প্রতিবেদন সতর্ক করেছে যে[[তামাক|তামাকের]] ধূমপানে বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে&nbsp;বিশ শতকে এবং বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়নকে হত্যা করতে পারে&nbsp;একবিংশ শতাব্দীতে।<ref name="who"/>

উন্নত বিশ্বে মৃত্যুর অনেক কারণগুলি ডায়েট নিয়ন্ত্রণ এবং [[শারীরিক সক্ষমতা|শারীরিক ক্রিয়াকলাপ]] দ্বারা হ্রাস করা যেতে পারে, তবে বয়সের সাথে রোগের বৃদ্ধি মত ঘটনাগুলি এখনও মানুষের দীর্ঘায়ু সীমাবদ্ধ করে দেয়। বিজ্ঞান বার্ধক্যের বিবর্তনীয় কারণটি সর্বোপরি কেবলমাত্র বোঝা শুরু করেছে। এটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে বয়স বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপই মৃত্যুর বড় কারণগুলির বিরুদ্ধে এখন সবচেয়ে কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Longevity dividend: What should we be doing to prepare for the unprecedented aging of humanity?|শেষাংশ=Olshansky|প্রথমাংশ=S. Jay|শেষাংশ২=Perry|প্রথমাংশ২=Daniel|বছর=2006|পাতাসমূহ=28–36}}</ref>
[[চিত্র:Édouard_Manet_-_Le_Suicidé_(ca._1877).jpg|বাম|থাম্ব| ''লে সুইসাইড'' শিল্পকর্মটি একেছেন [[এদুয়ার মানে]] যেখানে তিনি সম্প্রতি একটি আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে আত্মহত্যা করা এক লোকের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন]]
২০১২ সালে, [[আত্মহত্যা|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যা মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে আসে,]] এরপরে গাড়ি দুর্ঘটনা, তারপরে বিষপান, উচু স্থান হতে পতন এবং খুন। এখানে উল্লেখ্য আগে মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল গাড়ি দূর্ঘটনা।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://medicalxpress.com/news/2012-09-suicide-americans-car.html|শিরোনাম=Suicide now kills more Americans than car crashes: study|শেষাংশ=Steven Reinberg|তারিখ=September 20, 2012|কর্ম=Medical Express|সংগ্রহের-তারিখ=15 October 2012}}</ref> মৃত্যুর কারণগুলি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আলাদা। উচ্চ-আয়ের এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে প্রায় অর্ধেক লোকের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ লোক ৭০ বছর বয়সের পরে এবং মূলত দীর্ঘস্থায়ী রোগে মারা যায়। স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে, যেখানে সমস্ত লোকের পাঁচজনের মধ্যে একজন বয়স ৭০ বছর বয়সের কাছাকাছি যেতে পারে এবং সমস্ত মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। বেশিরভাগেরই মৃত্যু ঘটে সংক্রামক রোগে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs310/en/index2.html|শিরোনাম=The top 10 causes of death|বছর=2012|প্রকাশক=[[World Health Organization|WHO]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121104134125/http://www.who.int/mediacentre/factsheets/fs310/en/index2.html|আর্কাইভের-তারিখ=4 November 2012|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=12 December 2012}}</ref>

=== ময়নাতদন্ত ===
[[চিত্র:Rembrandt_-_The_Anatomy_Lesson_of_Dr_Nicolaes_Tulp.jpg|alt=A painting of an autopsy, by Rembrandt, entitled "The Anatomy Lesson of Dr. Nicolaes Tulp"|থাম্ব| ''ডাঃ নিকোলাইস টিল্পের অ্যানাটমি পাঠ'' নামক ''একটি ময়নাতদন্তের চিত্র একেছেন'', [[রেমব্রন্ট|রেমব্র্যান্ড]]]]
ময়নাতদন্ত বা অটোপসি বা পোষ্টমর্টাম বা অবডাকশন হল চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি মৃতদেহকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ ও পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয় এবং কোন [[রোগ]] বা আঘাতের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়। এটি সাধারণত একটি বিশেষ [[চিকিৎসক|চিকিত্সক]] দ্বারা সঞ্চালিত হয় তাকে [[রোগবিজ্ঞান|রোগবিদ্যাবিৎ]] বা প্যাথোলজিষ্ট বলা হয়।

== জীববিজ্ঞানে ==
{{যান্ত্রিক অনুবাদ|3=অনুচ্ছেদ}}
[[চিত্র:Earthworm.jpg|থাম্ব| [[কেঁচো]] হ'ল মাটি-বাসিন্দা ডেট্রিটিভোর]]
মৃত্যুর পর একটি প্রাণীর দেহাবশেষ জৈব রসায়ন চক্রের অংশ হয়ে যায়। ঐ চক্রের অংশ হিসেবে দেহবাশেষটি শিকারি পশুদের খাদ্য হতে পারে বা হিংস্র পশু দ্বারা শিকার হবার পর অন্যান্য প্রানীর খাদ্য হতে পারে। দেহাবশেষের জৈব উপাদানগুলি তারপর আরও পচে যেতে পারে ডেট্রিটিভোরদের খাদ্য হিসেবে, বা যে সকল প্রাণীরা জৈব পুনচক্র ঘটায় এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের জন্য পরিবেশে [[খাদ্য শৃঙ্খল|খাদ্য শৃঙ্খলে]] এটা ফিরে যায়। যেখানে এইসব রাসায়নিক অবশেষে শেষ হতে পারে এবং একটি জীবন্ত জীব কোষে সম্পৃক্ত হতে পারে। ডিট্রিটিভোরগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে আছে [[কেঁচো]], কাঠের উকুন এবং গোবর বিটল ইত্যাদি।

=== বিলুপ্তি ===
[[চিত্র:ExtinctDodoBird.jpeg|alt=Painting of a dodo|থাম্ব| একটি [[ডোডো]], একটি পাখি যা একটি প্রজাতির বিলুপ্তির জন্য ইংরেজী ভাষায় একটি শব্দরূপে গৃহীত হয়েছে<ref name="Diamond">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Guns, Germs, and Steel: The Fates of Human Societies|শিরোনাম-সংযোগ=Guns, Germs, and Steel|শেষাংশ=Diamond|প্রথমাংশ=Jared M.|বছর=1999|প্রকাশক=[[W.W. Norton]]|পাতাসমূহ=[https://archive.org/details/gunsgermssteelfa00diam/page/43 43–44]|অধ্যায়=Up to the Starting Line|আইএসবিএন=978-0-393-31755-8|সংস্করণ=illustrated, reprint}}</ref>]]
বিলুপ্তি হ'ল একটি প্রজাতি বা ট্যাক্সার গোষ্ঠীর অস্তিত্বের সমাপ্তি, ফলে [[জীববৈচিত্র্য]] হ্রাস পায়। বিলুপ্তির মুহূর্তটি সাধারণত সেই প্রজাতির শেষ ব্যক্তির মৃত্যু হিসাবে বিবেচিত হয় (যদিও প্রজনন ও পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা এই বিবেচনায় আগেই বিলুপ্তি হয়েছে তা বলা যেতে পারে)। যেহেতু একটি প্রজাতির সম্ভাব্য পরিসর খুব বড় হতে পারে, এই মুহুর্তটি নির্ধারণ করা কঠিন কখন বিলুপ্তি ঘটবে এবং সাধারণত প্রাকটিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হয়। এই অসুবিধাটি লাজারস ট্যাক্সার মতো ঘটনার দিকে পরিচালিত করে, যেখানে প্রজাতি অনুপস্থিত থাকার পরে প্রজাতিগুলি হঠাৎ বিলুপ্ত হয়ে যায় "পুনরায় প্রদর্শিত" হয় (সাধারণত [[জীবাশ্ম]] রেকর্ডে)। [[বিবর্তন]] প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজাতি তৈরি হয়। নতুন ধরনের জীব উত্থিত হয় এবং প্রস্ফুটিত হয় যখন তারা কোন পরিবেশগত সমর্থন খুঁজে পায় এবং এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হয় - এবং প্রজাতিগুলি বিলুপ্ত হয়ে যায় যখন তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বা উচ্চতর প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে সক্ষম হয় না।

== ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি ==
{{যান্ত্রিক অনুবাদ|3=অনুচ্ছেদ}}
=== বৌদ্ধধর্ম ===
বৌদ্ধ মতবাদ ও অনুশীলনে মৃত্যু একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মৃত্যুর চিন্তাই [[গৌতম বুদ্ধ|সিদ্ধার্থ বুদ্ধকে]] [[অমৃত|"অমৃত" সন্ধানের জন্য]] পথে নামিয়েছিল এবং অবশেষে জ্ঞান অর্জনের জন্য প্ররোচিত করেছিল। বৌদ্ধ মতবাদে, মৃত্যু মানুষ হিসাবে জন্মগ্রহণের মূল্যের স্মারক হিসাবে কাজ করে। মানুষ হিসাবে পুনর্জন্ম হওয়া একমাত্র অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয় যেখানে কোনও ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। অতএব, মৃত্যুর মাধ্যমে নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিতে সহায়তা করে যে কারও জীবনকে অবহেলা করা উচিত নয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পুনর্জন্মের বিশ্বাস অগত্যা [[অস্তিত্ববাদ|মৃত্যুর উদ্বেগ]] দূর করে না, যেহেতু পুনর্জন্ম চক্রের সমস্ত অস্তিত্বই [[দুঃখ (বৌদ্ধধর্ম)|দুঃখে]] পরিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় এবং বহুবার পুনর্বার জন্মগ্রহণ করার অর্থ এই নয় যে একজনের অগ্রগতি ঘটে।<ref name="Blum 2004">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|বিশ্বকোষ=Encyclopedia of Buddhism}}</ref>

[[চতুরার্য সত্য]] এবং নির্ভরশীল উদ্ভবের মতো মৃত্যু কয়েকটি মূল বৌদ্ধ উপাসনার অংশ।<ref name="Blum 2004"/>

=== খ্রিস্টধর্ম ===
যদিও খ্রিস্টধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশ্বাসের বিভিন্ন শাখা রয়েছে; মৃত্যুর উপর আধিক্যপূর্ণ মতাদর্শ পরবর্তী জীবনের জ্ঞান থেকে বৃদ্ধি পায়। অর্থ মৃত্যুর পর ব্যক্তি মরণশীলতা থেকে অমরত্বে বিচ্ছেদ ঘটাবে; তাদের আত্মা শরীর ছেড়ে আত্মার রাজ্যে প্রবেশ করে। দেহ ও আত্মার এই পৃথকীকরণের (অর্থাৎ মৃত্যু) পর পুনরুত্থান ঘটবে। যীশু খ্রিস্ট একই রূপান্তরের প্রতিনিধিত্ব করেন যা তাঁর দেহকে তিন দিনের জন্য সমাধিতে রাখার পরে মূর্ত হয়েছিল। তাঁর মতো, প্রতিটি ব্যক্তির দেহ পুনরুত্থিত হবে এবং আত্মা এবং দেহকে একটি নিখুঁত আকারে পুনরুত্থিত করবে। এই প্রক্রিয়াটি ব্যক্তির আত্মাকে মৃত্যু সহ্য করতে এবং মৃত্যুর পরে জীবনে রূপান্তরিত করতে দেয়।

=== হিন্দুধর্ম ===
[[চিত্র:Reincarnation_AS.jpg|থাম্ব| [[পুনর্জন্ম]] সম্পর্কে হিন্দু বিশ্বাসকে চিত্রিত করে একটি শিল্পকর্ম]]
[[হিন্দুধর্ম]] অনুসারে, মৃত্যুকে অস্থায়ী জড় দেহ থেকে অমৃত ''[[জীবাত্মা|জীব-আত্মার]]'' ([[আত্মা (হিন্দু দর্শন)|আত্মা]] বা চেতনার) পৃথক হয়ে থাকা হিসাবে বর্ণনা করা হয়। আত্মাই জড়দেহের চেতনার কারণ বলে মনে করা হয়। আত্মা যখন এই শরীর থেকে বেরিয়ে আসে, তখন দেহ আর চৈতন্য (জীবন) ধরে রাখতে পারে না। তখন ব্যাক্তি বৈষয়িক বাসনার (''কামের)'' অনুযায়ী কাজ করতে পারে না। মৃত্যুর পর আত্মা [[কর্ম (হিন্দু দর্শন)|কৃতকর্মের]] ফলের উপর ভিত্তি করে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন শরীরে প্রাপ্ত হয়। একে [[পুনর্জন্ম]] বলা হয়। মৃত্যুর সময় মনের বাসনা(শেষ চিন্তা) অনুযায়ী পুনর্জন্মে শরীর প্রাপ্ত হয়।।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://vedabase.io/en/library/bg/2/13/|শিরোনাম=Bhagavad-gītā As It Is 2.13|ওয়েবসাইট=Bhaktivedanta Vedabase|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-29|উক্তি=As the embodied soul continuously passes, in this body, from boyhood to youth to old age, the soul similarly passes into another body at death. A sober person is not bewildered by such a change.}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://vedabase.io/en/library/bg/2/20/|শিরোনাম=Bhagavad-gītā As It Is 2.20|ওয়েবসাইট=Bhaktivedanta Vedabase|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-29|উক্তি=For the soul there is neither birth nor death at any time. He has not come into being, does not come into being, and will not come into being. He is unborn, eternal, ever-existing and primeval. He is not slain when the body is slain.}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://vedabase.io/en/library/bg/8/3/|শিরোনাম=Bhagavad-gītā As It Is 8.3|ওয়েবসাইট=Bhaktivedanta Vedabase|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-29|উক্তি=The Supreme Personality of Godhead said: The indestructible, transcendental living entity is called Brahman, and his eternal nature is called adhyātma, the self. Action pertaining to the development of the material bodies of the living entities is called karma, or fruitive activities.}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://vedabase.io/en/library/bg/8/6/|শিরোনাম=Bhagavad-gītā As It Is 8.6|ওয়েবসাইট=Bhaktivedanta Vedabase|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-29|উক্তি=Whatever state of being one remembers when he quits his body, O son of Kuntī, that state he will attain without fail.}}</ref>

সাধারণত [[পুনর্জন্ম]] প্রক্রিয়ার ফলে (আত্মার স্থানান্তর) একজন তার আগের জীবনের সমস্ত স্মৃতি ভুলে যায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://vedabase.io/en/library/sb/5/8/27/|শিরোনাম=Śrīmad-Bhāgavatam (Bhāgavata Purāṇa) 5.8.27|ওয়েবসাইট=Bhaktivedanta Vedabase|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-29|উক্তি=At the time of death, the King saw that the deer was sitting by his side, exactly like his own son, and was lamenting his death. Actually the mind of the King was absorbed in the body of the deer, and consequently — like those bereft of Kṛṣṇa consciousness — he left the world, the deer, and his material body and acquired the body of a deer. However, there was one advantage. Although he lost his human body and received the body of a deer, he did not forget the incidents of his past life.}}</ref> কারণ প্রকৃতপক্ষে কোনো কিছুই মারা যায় না, অস্থায়ী জড় দেহ সর্বদা পরিবর্তিত হয়। এই জীবন এবং পরবর্তী উভয় ক্ষেত্রেই মৃত্যুর অর্থ কেবল পূর্বের অভিজ্ঞতা (বিগত পরিচয়) ভুলে যাওয়া।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://vedabase.io/en/library/sb/11/22/39/|শিরোনাম=Śrīmad-Bhāgavatam (Bhāgavata Purāṇa) 11.22.39|ওয়েবসাইট=Bhaktivedanta Vedabase|সংগ্রহের-তারিখ=2020-03-29|উক্তি=When the living entity passes from the present body to the next body, which is created by his own karma, he becomes absorbed in the pleasurable and painful sensations of the new body and completely forgets the experience of the previous body. This total forgetfulness of one's previous material identity, which comes about for one reason or another, is called death.}}</ref>

=== ইসলাম ===
{{মূল|মৃত্যু সংক্রান্ত ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি}}
ইসলামী রীতি অনুযায়ী, মৃত্যুর পরেও জীবন আছে এবং এটি [[আখিরাত]] নামে পরিচিত। ইসলামে, একজন ব্যক্তি কখন মারা যায় তা আল্লাহই সিদ্ধান্ত নেন এবং বেশিরভাগ মুসলমান বিশ্বাস করেন যে যখন তারা মারা যায়, ইয়াওম আল-দিন, থেকে বিচারের দিন পর্যন্ত তারা বারজাখ তথা পর্দার আড়ালের জগতে থাকবে। এবং তাদের পুণ্যাত্মাকে ইল্লিয়্যিন এবং পাপাত্মাকে সিজ্জিনে রাখা হবে।

=== ইহুদিবাদ ===
[[চিত্র:Yahrtzeit_candle.JPG|থাম্ব|মৃত্যুর বার্ষিকীতে প্রিয়জনের স্মরণে একটি ইয়াহরজিট মোমবাতি প্রজল্বিত অবস্থায়]]
ইহুদী ধর্মের মধ্যে পরকালীন জীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিশ্বাস রয়েছে, তবে তাদের কেউই মৃত্যুর চেয়ে জীবনের পছন্দকে বিরোধিতা করে না। এটি আংশিক কারণ মৃত্যুর ফলে কোনও আদেশ পালন করার সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যায়।<ref>Soloveitchik, Joseph B. ''Halakhic Man.'' Qtd. in [https://elmad.pardes.org/2018/04/tazria-metzora-understanding-purity/ Israel]</ref>

== আরও দেখুন ==
*[[মৃত্যুকালীন জবানবন্দী]]
*[[পরকালবিদ্যা]]
*[[পরামনোবিজ্ঞান]]


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{reflist|2}}

;গ্রন্থাগার
{{refbegin}}
* {{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/buriedalive00janb|শিরোনাম=Buried Alive: the Terrifying History of our Most Primal Fear|শেষাংশ=Bondeson|প্রথমাংশ=Jan|বছর=2001|প্রকাশক=W.W. Norton & Company|আইএসবিএন=978-0-393-04906-0}}
* {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Living in the Face of Death: The Tibetan Tradition|শেষাংশ=Mullin|প্রথমাংশ=Glenn H.|বছর=2008|প্রকাশক=Snow Lion Publications|আইএসবিএন=978-1-55939-310-2|প্রকৃত-বছর=1998|অবস্থান=Ithaca, New York}}
{{refend}}

== আরও পড়ুন ==
* আহমেদ, কৌশিক (২৫ মার্চ ২০১৮)। ''[https://www.prothomalo.com/amp/story/life/%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%98%E0%A6%9F%E0%A7%87 মৃত্যু কী, কখন ঘটে?]''। [[প্রথম আলো]]।
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.benbest.com/lifeext/causes.html|শিরোনাম=Causes of Death|শেষাংশ=Best, Ben|ওয়েবসাইট=BenBest.com|সংগ্রহের-তারিখ=10 June 2016}}
* {{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Now and At the Hour of Our Death|তারিখ=13 October 2015|প্রকাশক=And Other Stories|ভাষা=en|আইএসবিএন=978-1-908276-62-9}}
* {{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.slate.com/blogs/behold/2014/08/17/walter_schels_life_before_death_includes_portraits_of_people_before_and.html|শিরোনাম=How One Photographer Overcame His Fear of Death by Photographing It (Walter Schels' ''Life Before Death'')|শেষাংশ=Rosenberg, David Rosenberg|তারিখ=17 August 2014|কর্ম=Slate}}
* {{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://archive.org/details/corpsenaturefore00sach|শিরোনাম=Corpse: Nature, Forensics, and the Struggle to Pinpoint Time of Death|শেষাংশ=Sachs, Jessica Snyder|বছর=2001|প্রকাশক=Perseus Publishing|ধরন=270 pages|আইএসবিএন=978-0-7382-0336-2}}
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.lensculture.com/wschels|শিরোনাম=Before and After Death|শেষাংশ=Schels, Walter (Photographer) & Lakotta, Beate (Interviewer)|ওয়েবসাইট=LensCulture.com|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20141011190734/https://www.lensculture.com/wschels|আর্কাইভের-তারিখ=11 October 2014|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=19 September 2016}}
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.nsc.org/news_resources/injury_and_death_statistics/Pages/TheOddsofDyingFrom.aspx|শিরোনাম=The Odds of dying from various injuries or accidents|তারিখ=2001|ওয়েবসাইট=[[National Safety Council]]}}
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://rack1.ul.cs.cmu.edu/is/deathtypes/doc.scn?rp=_n|শিরোনাম=Causes of Death 1916|লেখকগণ=U.S. Census & AntiqueBooks.net (Scanned by)|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20040918133848/http://rack1.ul.cs.cmu.edu/is/deathtypes/doc.scn?rp=_n|আর্কাইভের-তারিখ=18 September 2004|ইউআরএল-অবস্থা=dead|সংগ্রহের-তারিখ=19 September 2016}}
* {{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.elijahwald.com/origin.html|শিরোনাম=The Origin of Death|শেষাংশ=Wald, George|ওয়েবসাইট=ElijahWald.com}}


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==
* {{কার্লি|Society/Death}}
* [http://www.dmoz.org/Society/Death/ মৃত্যু] at the Open Directory Project
* {{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://plato.stanford.edu/entries/death/#2|শিরোনাম=Death|বছর=2016|কর্ম=Stanford Encyclopedia of Philosophy|প্রকাশক=Metaphysics Research Lab, Stanford University}}


{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
[[বিষয়শ্রেণী:মৃত্যু]]


[[বিষয়শ্রেণী:বার্ধক্য]]
[[an:Muerte]]
[[বিষয়শ্রেণী:মৃত্যু]]
[[ar:موت]]
[[বিষয়শ্রেণী:জীববিজ্ঞান]]
[[arc:ܡܘܬܐ]]
[[বিষয়শ্রেণী:অপর্যালোচিত অনুবাদসহ পাতা]]
[[arz:موت]]
[[বিষয়শ্রেণী:মূল বিষয়ের নিবন্ধ]]
[[az:Ölüm]]
[[bat-smg:Smertės]]
[[be:Смерць]]
[[be-x-old:Сьмерць]]
[[bg:Смърт]]
[[br:Marv]]
[[bs:Smrt]]
[[ca:Mort]]
[[ceb:Kamatayon]]
[[cs:Smrt]]
[[cu:Съмрьть]]
[[cy:Marwolaeth]]
[[da:Død]]
[[de:Tod]]
[[el:Θάνατος]]
[[en:Death]]
[[eo:Morto]]
[[es:Muerte]]
[[et:Surm]]
[[eu:Heriotza]]
[[fa:مرگ]]
[[fi:Kuolema]]
[[fr:Mort]]
[[fy:Dea]]
[[gan:過世]]
[[gl:Morte]]
[[gn:Mano]]
[[gu:મરણ]]
[[he:מוות]]
[[hi:मृत्यु]]
[[hr:Smrt]]
[[ht:Lanmò]]
[[hu:Halál]]
[[hy:Մահ]]
[[ia:Morte]]
[[id:Kematian]]
[[io:Morto]]
[[is:Dauði]]
[[it:Morte]]
[[ja:死]]
[[ka:სიკვდილი]]
[[kn:ಮರಣ]]
[[ko:죽음]]
[[la:Mors]]
[[lt:Mirtis]]
[[lv:Nāve]]
[[mk:Смрт]]
[[ml:മരണം]]
[[mr:मृत्यू]]
[[ms:Ajal]]
[[mt:Mewt]]
[[nah:Miquiztli]]
[[nl:Dood]]
[[nn:Død]]
[[no:Død]]
[[pl:Śmierć]]
[[pnb:مرن]]
[[pt:Morte]]
[[qu:Wañuy]]
[[ro:Moarte]]
[[ru:Смерть]]
[[sah:Өлүү]]
[[scn:Morti]]
[[sh:Smrt]]
[[simple:Death]]
[[sk:Smrť]]
[[sl:Smrt]]
[[sq:Vdekja]]
[[sr:Смрт]]
[[su:Paéh]]
[[sv:Döden]]
[[sw:Mauti]]
[[szl:Śmjyrć]]
[[ta:இறப்பு]]
[[th:ความตาย]]
[[tl:Kamatayan]]
[[tr:Ölüm]]
[[uk:Смерть]]
[[ur:موت]]
[[vi:Chết]]
[[wa:Moirt]]
[[war:Kamatayan]]
[[yi:טויט]]
[[zh:死亡]]
[[zh-classical:死]]
[[zh-yue:死]]

১৭:২৮, ২০ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মৃত মানুষের খুলি, মৃত্যুর প্রতীকী চিত্র

মৃত্যু হল জীবন প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ অবসান যা সমস্ত জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে ঘটে। মৃত্যু বলতে জীবনের সমাপ্তিকে বুঝায়।[] জীববিজ্ঞানের ভাষায় প্রাণ আছে এমন কোন জৈব পদার্থের (বা জীবের) জীবনের সমাপ্তিকে মৃত্যু বলে।[] অন্য কথায়, মৃত্যু হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন সকল শারীরিক কর্মকাণ্ড যেমন শ্বসন, খাদ্য গ্রহণ, পরিচলন, ইত্যাদি থেমে যায়। কোন জীবের মৃত্যু হলে তাকে মৃত বলা হয়।

মৃত্যু বিভিন্ন স্তরে ঘটে থাকে। সোমাটিক মৃত্যু হল সামগ্রিকভাবে কোন জীবের মৃত্যু। নির্দিষ্ট অঙ্গ, কোষ বা কোষাংশের মৃত্যুর আগেই এটি ঘটে। এতে হৃৎস্পন্দন, শ্বসন, চলন, নড়াচড়া, প্রতিবর্ত ক্রিয়া ও মস্তিষ্কের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। সোমাটিক মৃত্যু ঠিক কখন ঘটে তা নির্ণয় করা দুরূহ, কেননা কোমা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং ঘোর বা ট্রান্সের মধ্যে থাকা ব্যাক্তিও একই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে থাকেন।

সোমাটিক মৃত্যুর পর অনেকগুলি পরিবর্তন ঘটে যা থেকে মৃত্যুর সময় ও কারণ নির্ণয় করা যায়। মারা যাবার পরপরই পার্শ্ববর্তী পরিবেশের প্রভাবে দেহ ঠান্ডা হয়ে যায়, যাকে এলগর মর্টিস বলে। মারা যাবার পাঁচ থেকে দশ ঘণ্টা পরে কঙ্কালের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়, একে রিগর মর্টিস বলে, যা তিন থেকে চার দিন পরে শেষ হয়ে যায়। রেখে দেয়া দেহের নিচের অংশে যে লাল-নীল রঙ দেখা যায়, তাকে বলে লিভর মর্টিস; রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এমন হয়। মৃত্যুর খানিক বাদেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরে দেহের যে পচন শুরু হয়, তার জন্য দায়ী উৎসেচকব্যাক্টেরিয়া

দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিভিন্ন হারে মারা যায়। সোমাটিক মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে হৃৎপিণ্ডের কোষ ১৫ মিনিট এবং বৃক্কের কোষ প্রায় ৩০ মিনিট বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সদ্যমৃত দেহ থেকে সরিয়ে নিয়ে জীবিত ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।

নির্ণয়

[সম্পাদনা]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১২ সালে প্রতি মিলিয়ন লোকের মৃত্যুর সংখ্যা অনুমান করেছে
  ১,০৫৪–৪,৫৯৮
  ৪,৫৯৯–৫,৫১৬
  ৫,৫১৭–৬,২৮৯
  ৬,২৯০–৬,৮৩৫
  ৬,৮৩৬–৭,৯১৬
  ৭,৯১৭–৮,৭২৮
  ৮,৭২৯–৯,৪০৪
  ৯,৪০৫–১০,৪৩৩
  ১০,৪৩৪–১২,২৩৩
  ১২,৩৩৪–১৭,১৪১

সংজ্ঞায়নের সমস্যা

[সম্পাদনা]
Symbols of death in a painting: it shows a flower, a skull and an hourglass
ফিলিপ ডি চ্যাম্পাইগেনের ১৭তম শতাব্দীর এই চিত্রকলায় একটি ফুল, একটি খুলি এবং একটি বালি ঘড়ির দ্বারা জীবন, মৃত্যু এবং সময়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে

মৃত্যুর ধারণাটি বুঝতে হলে মৃত্যুর ঘটনাটি বোঝা জরুরি।[] মৃত্যু সম্পর্কে বহুবিধ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ধারণা চলমান আছে। জীবন রক্ষাকারি চিকিৎসার উন্মেষ এবং মৃত্যুকে সংজ্ঞায়িত করার নানামুখি মেডিকেল ও আইনি মানদণ্ড মৃত্যুর একটি সমন্বিত সংজ্ঞা স্থাপনে বাঁধার সৃষ্টি করেছে।

মৃত্যুকে সংজ্ঞায়িত করার একটি বড় সমস্যা হলো, একে জীবন্ত অবস্থা হতে পৃথক করা। সময়ের যেকোনো মুহূর্তে, মৃত্যুকে এমন মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত করা যায় যখন জীবন শেষ হয়ে আসে। কিন্তু কখন মৃত্যু হয়েছে সেটি বের করা কঠিন কারণ জীবনের সমাপ্তি সকল অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে একই সময়ে ঘটে না।[] তাই মৃত্যুর সংজ্ঞায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজন জীবন ও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট তাত্ত্বিক সীমানা। এই কাজটি কঠিন, কারণ জীবন কাকে বলে সে সম্পর্কে অনেক মতভেদ আছে।

সচেতনতার ভিত্তিকে মৃত্যুকে জীবনকে সংজ্ঞায়ক করা সম্ভব। যখন সচেতনতা লোপ পায়, একটি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। কিন্তু এই ধারনার একটা সমস্যা হলো, পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা জীবন্ত কিন্তু সম্ভবত সচেতন নয় (যেমন, এককোষী প্রাণী)। মৃত্যুকে সংজ্ঞায়ন করার আরেকটি সমস্যা হলো সচেতনতার সংজ্ঞা নিয়ে। সচেতনতার বিভিন্ন রকম সংজ্ঞা আধুনিক সময়ের বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী এবং দার্শনিকরা প্রদান করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় শাস্ত্র, যেমন আব্রাহামীয়ভারতীয় ধর্মসমূহ, মনে করে মৃত্যুতে সচেতনতা লোপ পায় না। কিছু কিছু সংষ্কৃতিতে মৃত্যুকে একটি একক ঘটনার চেয়ে একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রক্রিয়া বলতে এক আধ্যাত্নিক অবস্থা থেকে অন্য আধ্যাত্নিক অবস্থায় রূপান্তর বোঝানো হয়।[]

লক্ষণ

[সম্পাদনা]

উষ্ণ রক্তের প্রাণী আর বেঁচে নেই এমন মৃত্যুর লক্ষণ বা শক্তিশালী ইঙ্গিতগুলি হলো:

মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে যে পর্যায়গুলি ঘটে থাকে সেগুলি হলো:

  • প্যালোর মর্টিস, ফ্যাকাশে যা মৃত্যুর ১৫-১২০ মিনিটে ঘটে
  • এলগর মর্টিস, মৃত্যুর পরে শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। চারপাশের তাপমাত্রার সাথে মিল না পাওয়া পর্যন্ত এটি সাধারণত অবিচলিতভাবে পতন হয়
  • রিগর মর্টিস, লাশের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি শক্ত হয়ে যায় (ল্যাটিন কঠোরতা ) এবং সরানো বা চালিত করা কঠিন হয়ে পড়ে
  • লিভর মর্টিস, শরীরের নিম্ন (নির্ভরশীল) অংশে রক্তের স্থিরতা
  • পিউট্রেফ্যাকশন, পচনের প্রথম লক্ষণ
  • পচন, পদার্থের সরল রূপগুলিতে হ্রাস পাবার একটি ব্যবস্থা, একটি শক্তিশালী, অপ্রীতিকর গন্ধ ছড়ায়
  • কঙ্কালায়ন, পচনের সমাপ্তি, যেখানে সমস্ত নরম টিস্যুগুলি পচে যায়, কেবল কঙ্কাল থাকে
  • জীবাশ্ম, কঙ্কালের প্রাকৃতিক সংরক্ষণ খুব দীর্ঘ সময় ধরে গঠিত

কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পর আইনী কার্যক্রম থাকতে পারে যা বিভিন্ন বিচার বিভাগের মধ্যে পৃথক পৃথক হতে পারে। একটি মৃত্যুর সনদপত্র বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রদান করা হয়, সেট কোনও ডাক্তার দ্বারা, বা কোনও প্রশাসকের কার্যালয়ের দ্বারাও হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে কোনও ডাক্তার মৃত্যুর ঘোষণার দেবার পরে তার জারি করা যেতে পারে।

ভুল নির্ণয়

[সম্পাদনা]
আন্টোইন ওয়েয়ার্টজের জীবিত সমাহিত চিত্রকর্ম

চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করার পরে মৃত ব্যক্তি জীবিত হওয়ার ঘটনা রয়েছে। অনেক সময় কয়েকদিন পরে তাদের কফিনে, বা যখন শ্বসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে তার আগে তারা জীবিত হয়ে উঠে। আঠারো শতকের মাঝামাঝি থেকে জনসাধারণের মাঝে ভুল করে জীবিত সমাধিস্থ করার ভয় কাজ করে,[] এবং মৃত্যুর লক্ষণগুলির অনিশ্চয়তা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছিল। কবর দেওয়ার আগে জীবনের লক্ষণগুলির পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যার মধ্যে ছিল মৃতদেহের মুখে ভিনেগার এবং মরিচ ঢেলে দেয়া থেকে শুরু করে পায়ে বা মলদ্বারে লাল গরম পোকার প্রয়োগ করার মত পরীক্ষা।[] ১৮৯৫ সালে লেখক চিকিত্সক জে সি ওসলে দাবি করেছিলেন যে প্রতি বছর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে প্রায় ২,৭০০ জন ব্যক্তিকে অকালে কবর দেওয়া হয়েছিল, যদিও অন্যরা এই অনুমানটি ৮০০ এর কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন ।[]

কারণসমূহ

[সম্পাদনা]

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ হল সংক্রামক রোগউন্নত দেশগুলির প্রধান কারণ হ'ল এথেরোস্ক্লেরোসিস ( হৃদরোগ এবং স্ট্রোক ), ক্যান্সার এবং স্থূলতা এবং বার্ধক্যজনিত অন্যান্য রোগ। অত্যন্ত বিস্তৃত পরিসরে, উন্নত বিশ্বে মৃত্যুর সর্বাধিক একিভূত কারন হ'ল জৈবিক বার্ধক্য,[] যার ফলে বার্ধক্যজনিত রোগ হিসাবে পরিচিত বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়। এই অবস্থাগুলি হোমিওস্টেসিসের ক্ষতির কারণ যার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, অক্সিজেন এবং পুষ্টির সরবরাহ হ্রাস পায়, মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য টিস্যুগুলির অপরিবর্তনীয় অবনতি ঘটে। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫০,০০০ মানুষ মারা যায়, এদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বয়স-সম্পর্কিত কারণে মারা যায়। শিল্পোন্নত দেশগুলিতে, এই অনুপাত ৯০% এর কাছাকাছি, যা অনেক বেশি। উন্নত চিকিৎসা ক্ষমতার কারনে, মরণকে সহজে ব্যবস্থাপনা করে দীর্ঘায়িত জীবন লাভ সহজ হয়েছে। একসময় সাধারণভাবে গৃহে মৃত্যুই ছিল সাধারণ কিন্তু এখন উন্নত বিশ্বে তা খুবই বিরল।

আমেরিকান শিশুরা ১৯১০ সালে ধূমপান করছে। তামাক ধূমপানের কারণে বিংশ শতাব্দীতে আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন লোক মারা গিয়েছিল।[]

উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, নিকৃষ্ট স্যানিটারি ব্যবস্থা এবং আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির অভাবে উন্নত দেশগুলির তুলনায় সংক্রামক রোগগুলির দ্বারা মৃত্যুর হার বেশি। এর মধ্যে একটি রোগ হল যক্ষ্মা, একটি ব্যাকটিরিয়া রোগ যা ২০১৫ সালে ১.৮ মিলিয়ন মানুষকে হত্যা করেছিল।[] ম্যালেরিয়া প্রতিবছর প্রায় ৪০০-৯০০ মিলিয়ন জ্বরের কারন এবং ১–৩ মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকে।[১০] আফ্রিকাতে এইডসে মারা যাওয়ার সংখ্যা ২০২৫ সালের মধ্যে ৯০-১০০ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে[১১][১২]

জিন জিগলারের ( খাদ্য অধিকারের পক্ষে জাতিসংঘের স্পেশাল রিপোর্টার, ২০০০ - মার্চ ২০০৮) মতে , ২০০৬ সালে অপুষ্টির কারণে মৃত্যুহার মোট মৃত্যুর হারের ৫৮% ছিল। জিগলার বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী প্রায় সব মিলিয়ে ৬২ মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন কারণে মারা গিয়েছিল এবং তাদের মধ্যে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের বা পুষ্টি ঘাটতির কারণে ৩৬ মিলিয়নেরও বেশি লোক ক্ষুধা বা পুষ্টিহীনতা জনিত রোগে মারা গিয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিবেদন সতর্ক করেছে যেতামাকের ধূমপানে বিশ্বব্যাপী ১০০ মিলিয়ন মানুষ মারা গেছে বিশ শতকে এবং বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়নকে হত্যা করতে পারে একবিংশ শতাব্দীতে।[]

উন্নত বিশ্বে মৃত্যুর অনেক কারণগুলি ডায়েট নিয়ন্ত্রণ এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপ দ্বারা হ্রাস করা যেতে পারে, তবে বয়সের সাথে রোগের বৃদ্ধি মত ঘটনাগুলি এখনও মানুষের দীর্ঘায়ু সীমাবদ্ধ করে দেয়। বিজ্ঞান বার্ধক্যের বিবর্তনীয় কারণটি সর্বোপরি কেবলমাত্র বোঝা শুরু করেছে। এটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে বয়স বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপই মৃত্যুর বড় কারণগুলির বিরুদ্ধে এখন সবচেয়ে কার্যকর হস্তক্ষেপ হতে পারে।[১৩]

লে সুইসাইড শিল্পকর্মটি একেছেন এদুয়ার মানে যেখানে তিনি সম্প্রতি একটি আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে আত্মহত্যা করা এক লোকের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন

২০১২ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যা মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে আসে, এরপরে গাড়ি দুর্ঘটনা, তারপরে বিষপান, উচু স্থান হতে পতন এবং খুন। এখানে উল্লেখ্য আগে মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল গাড়ি দূর্ঘটনা।[১৪] মৃত্যুর কারণগুলি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আলাদা। উচ্চ-আয়ের এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে প্রায় অর্ধেক লোকের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ লোক ৭০ বছর বয়সের পরে এবং মূলত দীর্ঘস্থায়ী রোগে মারা যায়। স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে, যেখানে সমস্ত লোকের পাঁচজনের মধ্যে একজন বয়স ৭০ বছর বয়সের কাছাকাছি যেতে পারে এবং সমস্ত মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। বেশিরভাগেরই মৃত্যু ঘটে সংক্রামক রোগে।[১৫]

ময়নাতদন্ত

[সম্পাদনা]
A painting of an autopsy, by Rembrandt, entitled "The Anatomy Lesson of Dr. Nicolaes Tulp"
ডাঃ নিকোলাইস টিল্পের অ্যানাটমি পাঠ নামক একটি ময়নাতদন্তের চিত্র একেছেন, রেমব্র্যান্ড

ময়নাতদন্ত বা অটোপসি বা পোষ্টমর্টাম বা অবডাকশন হল চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি মৃতদেহকে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ ও পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয় এবং কোন রোগ বা আঘাতের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়। এটি সাধারণত একটি বিশেষ চিকিত্সক দ্বারা সঞ্চালিত হয় তাকে রোগবিদ্যাবিৎ বা প্যাথোলজিষ্ট বলা হয়।

জীববিজ্ঞানে

[সম্পাদনা]
কেঁচো হ'ল মাটি-বাসিন্দা ডেট্রিটিভোর

মৃত্যুর পর একটি প্রাণীর দেহাবশেষ জৈব রসায়ন চক্রের অংশ হয়ে যায়। ঐ চক্রের অংশ হিসেবে দেহবাশেষটি শিকারি পশুদের খাদ্য হতে পারে বা হিংস্র পশু দ্বারা শিকার হবার পর অন্যান্য প্রানীর খাদ্য হতে পারে। দেহাবশেষের জৈব উপাদানগুলি তারপর আরও পচে যেতে পারে ডেট্রিটিভোরদের খাদ্য হিসেবে, বা যে সকল প্রাণীরা জৈব পুনচক্র ঘটায় এমন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনঃব্যবহারের জন্য পরিবেশে খাদ্য শৃঙ্খলে এটা ফিরে যায়। যেখানে এইসব রাসায়নিক অবশেষে শেষ হতে পারে এবং একটি জীবন্ত জীব কোষে সম্পৃক্ত হতে পারে। ডিট্রিটিভোরগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে আছে কেঁচো, কাঠের উকুন এবং গোবর বিটল ইত্যাদি।

বিলুপ্তি

[সম্পাদনা]
Painting of a dodo
একটি ডোডো, একটি পাখি যা একটি প্রজাতির বিলুপ্তির জন্য ইংরেজী ভাষায় একটি শব্দরূপে গৃহীত হয়েছে[১৬]

বিলুপ্তি হ'ল একটি প্রজাতি বা ট্যাক্সার গোষ্ঠীর অস্তিত্বের সমাপ্তি, ফলে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়। বিলুপ্তির মুহূর্তটি সাধারণত সেই প্রজাতির শেষ ব্যক্তির মৃত্যু হিসাবে বিবেচিত হয় (যদিও প্রজনন ও পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা এই বিবেচনায় আগেই বিলুপ্তি হয়েছে তা বলা যেতে পারে)। যেহেতু একটি প্রজাতির সম্ভাব্য পরিসর খুব বড় হতে পারে, এই মুহুর্তটি নির্ধারণ করা কঠিন কখন বিলুপ্তি ঘটবে এবং সাধারণত প্রাকটিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হয়। এই অসুবিধাটি লাজারস ট্যাক্সার মতো ঘটনার দিকে পরিচালিত করে, যেখানে প্রজাতি অনুপস্থিত থাকার পরে প্রজাতিগুলি হঠাৎ বিলুপ্ত হয়ে যায় "পুনরায় প্রদর্শিত" হয় (সাধারণত জীবাশ্ম রেকর্ডে)। বিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নতুন প্রজাতি তৈরি হয়। নতুন ধরনের জীব উত্থিত হয় এবং প্রস্ফুটিত হয় যখন তারা কোন পরিবেশগত সমর্থন খুঁজে পায় এবং এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হয় - এবং প্রজাতিগুলি বিলুপ্ত হয়ে যায় যখন তারা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বা উচ্চতর প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে সক্ষম হয় না।

ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি

[সম্পাদনা]

বৌদ্ধধর্ম

[সম্পাদনা]

বৌদ্ধ মতবাদ ও অনুশীলনে মৃত্যু একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মৃত্যুর চিন্তাই সিদ্ধার্থ বুদ্ধকে "অমৃত" সন্ধানের জন্য পথে নামিয়েছিল এবং অবশেষে জ্ঞান অর্জনের জন্য প্ররোচিত করেছিল। বৌদ্ধ মতবাদে, মৃত্যু মানুষ হিসাবে জন্মগ্রহণের মূল্যের স্মারক হিসাবে কাজ করে। মানুষ হিসাবে পুনর্জন্ম হওয়া একমাত্র অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয় যেখানে কোনও ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। অতএব, মৃত্যুর মাধ্যমে নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিতে সহায়তা করে যে কারও জীবনকে অবহেলা করা উচিত নয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে পুনর্জন্মের বিশ্বাস অগত্যা মৃত্যুর উদ্বেগ দূর করে না, যেহেতু পুনর্জন্ম চক্রের সমস্ত অস্তিত্বই দুঃখে পরিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় এবং বহুবার পুনর্বার জন্মগ্রহণ করার অর্থ এই নয় যে একজনের অগ্রগতি ঘটে।[১৭]

চতুরার্য সত্য এবং নির্ভরশীল উদ্ভবের মতো মৃত্যু কয়েকটি মূল বৌদ্ধ উপাসনার অংশ।[১৭]

খ্রিস্টধর্ম

[সম্পাদনা]

যদিও খ্রিস্টধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশ্বাসের বিভিন্ন শাখা রয়েছে; মৃত্যুর উপর আধিক্যপূর্ণ মতাদর্শ পরবর্তী জীবনের জ্ঞান থেকে বৃদ্ধি পায়। অর্থ মৃত্যুর পর ব্যক্তি মরণশীলতা থেকে অমরত্বে বিচ্ছেদ ঘটাবে; তাদের আত্মা শরীর ছেড়ে আত্মার রাজ্যে প্রবেশ করে। দেহ ও আত্মার এই পৃথকীকরণের (অর্থাৎ মৃত্যু) পর পুনরুত্থান ঘটবে। যীশু খ্রিস্ট একই রূপান্তরের প্রতিনিধিত্ব করেন যা তাঁর দেহকে তিন দিনের জন্য সমাধিতে রাখার পরে মূর্ত হয়েছিল। তাঁর মতো, প্রতিটি ব্যক্তির দেহ পুনরুত্থিত হবে এবং আত্মা এবং দেহকে একটি নিখুঁত আকারে পুনরুত্থিত করবে। এই প্রক্রিয়াটি ব্যক্তির আত্মাকে মৃত্যু সহ্য করতে এবং মৃত্যুর পরে জীবনে রূপান্তরিত করতে দেয়।

হিন্দুধর্ম

[সম্পাদনা]
পুনর্জন্ম সম্পর্কে হিন্দু বিশ্বাসকে চিত্রিত করে একটি শিল্পকর্ম

হিন্দুধর্ম অনুসারে, মৃত্যুকে অস্থায়ী জড় দেহ থেকে অমৃত জীব-আত্মার (আত্মা বা চেতনার) পৃথক হয়ে থাকা হিসাবে বর্ণনা করা হয়। আত্মাই জড়দেহের চেতনার কারণ বলে মনে করা হয়। আত্মা যখন এই শরীর থেকে বেরিয়ে আসে, তখন দেহ আর চৈতন্য (জীবন) ধরে রাখতে পারে না। তখন ব্যাক্তি বৈষয়িক বাসনার (কামের) অনুযায়ী কাজ করতে পারে না। মৃত্যুর পর আত্মা কৃতকর্মের ফলের উপর ভিত্তি করে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন শরীরে প্রাপ্ত হয়। একে পুনর্জন্ম বলা হয়। মৃত্যুর সময় মনের বাসনা(শেষ চিন্তা) অনুযায়ী পুনর্জন্মে শরীর প্রাপ্ত হয়।।[১৮][১৯][২০][২১]

সাধারণত পুনর্জন্ম প্রক্রিয়ার ফলে (আত্মার স্থানান্তর) একজন তার আগের জীবনের সমস্ত স্মৃতি ভুলে যায়।[২২] কারণ প্রকৃতপক্ষে কোনো কিছুই মারা যায় না, অস্থায়ী জড় দেহ সর্বদা পরিবর্তিত হয়। এই জীবন এবং পরবর্তী উভয় ক্ষেত্রেই মৃত্যুর অর্থ কেবল পূর্বের অভিজ্ঞতা (বিগত পরিচয়) ভুলে যাওয়া।[২৩]

ইসলাম

[সম্পাদনা]

ইসলামী রীতি অনুযায়ী, মৃত্যুর পরেও জীবন আছে এবং এটি আখিরাত নামে পরিচিত। ইসলামে, একজন ব্যক্তি কখন মারা যায় তা আল্লাহই সিদ্ধান্ত নেন এবং বেশিরভাগ মুসলমান বিশ্বাস করেন যে যখন তারা মারা যায়, ইয়াওম আল-দিন, থেকে বিচারের দিন পর্যন্ত তারা বারজাখ তথা পর্দার আড়ালের জগতে থাকবে। এবং তাদের পুণ্যাত্মাকে ইল্লিয়্যিন এবং পাপাত্মাকে সিজ্জিনে রাখা হবে।

ইহুদিবাদ

[সম্পাদনা]
মৃত্যুর বার্ষিকীতে প্রিয়জনের স্মরণে একটি ইয়াহরজিট মোমবাতি প্রজল্বিত অবস্থায়

ইহুদী ধর্মের মধ্যে পরকালীন জীবন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিশ্বাস রয়েছে, তবে তাদের কেউই মৃত্যুর চেয়ে জীবনের পছন্দকে বিরোধিতা করে না। এটি আংশিক কারণ মৃত্যুর ফলে কোনও আদেশ পালন করার সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যায়।[২৪]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Definition of death | Dictionary.com"www.dictionary.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৬ 
  2. http://www.dictionary.com/browse/death?s=t
  3. Samir Hossain Mohammad; Gilbert Peter (২০১০)। "Concepts of Death: A key to our adjustment"। 
  4. "Crossing Over: How Science Is Redefining Life and Death"Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৪-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৬ 
  5. মেটকালফ, পিটার; হান্টিংটন, রিচার্ড (১৯৯১)। Celebrations of Death: The Anthropology of Mortuary Ritual। ক্যামব্রিজ প্রেস। 
  6. Bondeson 2001
  7. Aubrey D.N.J, de Grey (২০০৭)। "Life Span Extension Research and Public Debate: Societal Considerations" (পিডিএফ)ডিওআই:10.2202/1941-6008.1011সাইট সিয়ারX 10.1.1.395.745অবাধে প্রবেশযোগ্য। ১৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০০৯ 
  8. "WHO Report on the Global Tobacco Epidemic, 2008" (পিডিএফ)WHO। ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩lay summary (৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। 
  9. "Tuberculosis Fact sheet N°104 – Global and regional incidence"WHO। মার্চ ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০০৬ 
  10. Chris Thomas, Global Health/Health Infectious Diseases and Nutrition (২ জুন ২০০৯)। "USAID's Malaria Programs"। Usaid.gov। ২৬ জানুয়ারি ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  11. "Aids could kill 90 million Africans, says UN"The Guardian। London। ৪ মার্চ ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১০ 
  12. Terry Leonard (৪ জুন ২০০৬)। "AIDS Toll May Reach 100 Million in Africa"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  13. Olshansky, S. Jay; Perry, Daniel (২০০৬)। "Longevity dividend: What should we be doing to prepare for the unprecedented aging of humanity?": 28–36। 
  14. Steven Reinberg (সেপ্টেম্বর ২০, ২০১২)। "Suicide now kills more Americans than car crashes: study"Medical Express। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১২ 
  15. "The top 10 causes of death"WHO। ২০১২। ৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১২ 
  16. Diamond, Jared M. (১৯৯৯)। "Up to the Starting Line"। Guns, Germs, and Steel: The Fates of Human Societies (illustrated, reprint সংস্করণ)। W.W. Norton। পৃষ্ঠা 43–44আইএসবিএন 978-0-393-31755-8  অজানা প্যারামিটার |শিরোনাম-সংযোগ= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  17. Encyclopedia of Buddhism 
  18. "Bhagavad-gītā As It Is 2.13"Bhaktivedanta Vedabase। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৯As the embodied soul continuously passes, in this body, from boyhood to youth to old age, the soul similarly passes into another body at death. A sober person is not bewildered by such a change. 
  19. "Bhagavad-gītā As It Is 2.20"Bhaktivedanta Vedabase। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৯For the soul there is neither birth nor death at any time. He has not come into being, does not come into being, and will not come into being. He is unborn, eternal, ever-existing and primeval. He is not slain when the body is slain. 
  20. "Bhagavad-gītā As It Is 8.3"Bhaktivedanta Vedabase। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৯The Supreme Personality of Godhead said: The indestructible, transcendental living entity is called Brahman, and his eternal nature is called adhyātma, the self. Action pertaining to the development of the material bodies of the living entities is called karma, or fruitive activities. 
  21. "Bhagavad-gītā As It Is 8.6"Bhaktivedanta Vedabase। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৯Whatever state of being one remembers when he quits his body, O son of Kuntī, that state he will attain without fail. 
  22. "Śrīmad-Bhāgavatam (Bhāgavata Purāṇa) 5.8.27"Bhaktivedanta Vedabase। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৯At the time of death, the King saw that the deer was sitting by his side, exactly like his own son, and was lamenting his death. Actually the mind of the King was absorbed in the body of the deer, and consequently — like those bereft of Kṛṣṇa consciousness — he left the world, the deer, and his material body and acquired the body of a deer. However, there was one advantage. Although he lost his human body and received the body of a deer, he did not forget the incidents of his past life. 
  23. "Śrīmad-Bhāgavatam (Bhāgavata Purāṇa) 11.22.39"Bhaktivedanta Vedabase। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৯When the living entity passes from the present body to the next body, which is created by his own karma, he becomes absorbed in the pleasurable and painful sensations of the new body and completely forgets the experience of the previous body. This total forgetfulness of one's previous material identity, which comes about for one reason or another, is called death. 
  24. Soloveitchik, Joseph B. Halakhic Man. Qtd. in Israel
গ্রন্থাগার

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]