বিষয়বস্তুতে চলুন

অস্ট্রিয়া জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অস্ট্রিয়া
দলের লোগো
ডাকনামডাস টিম (দল)
বুর্শেন (ছেলে)
উনসেরে বুর্শেন (আমাদের ছেলে)
অ্যাসোসিয়েশনঅস্ট্রীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনউয়েফা (ইউরোপ)
প্রধান কোচফ্রাঙ্কো ফোডা
অধিনায়কজুলিয়ান বাউমগাটলিঙ্গার
সর্বাধিক ম্যাচআন্ডি হেরৎসোগ (১০৩)
শীর্ষ গোলদাতাটনি পলস্টার (৪৪)
মাঠআর্নস্ট-হাপেল স্টাডিওন
ফিফা কোডAUT
ওয়েবসাইটwww.oefb.at
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ২৪ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[]
সর্বোচ্চ১০ (মার্চ–জুন ২০১৬)
সর্বনিম্ন১০৫ (জুলাই ২০০৮)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৮ বৃদ্ধি ১৬ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[]
সর্বোচ্চ(মে ১৯৩৪)
সর্বনিম্ন৭৫ (২ সেপ্টেম্বর ২০১১)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 অস্ট্রিয়া ৫–০ হাঙ্গেরি 
(ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া; ১২ অক্টোবর ১৯০২)
বৃহত্তম জয়
 অস্ট্রিয়া ৯–০ মাল্টা 
(জালৎসবুর্গ, অস্ট্রিয়া; ৩০ এপ্রিল ১৯৭৭)
বৃহত্তম পরাজয়
 অস্ট্রিয়া ১–১১ ইংল্যান্ড 
(ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া; ৮ জুন ১৯০৮)
বিশ্বকাপ
অংশগ্রহণ৭ (১৯৩৪-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যতৃতীয় স্থান (১৯৫৪)
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ
অংশগ্রহণ৩ (২০০৮-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০০৮, ২০১৬)

অস্ট্রিয়া জাতীয় ফুটবল দল (জার্মান: Österreichische Fußballnationalmannschaft) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অস্ট্রিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম অস্ট্রিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৫ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০২ সালের ১২ই অক্টোবর তারিখে, অস্ট্রিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরিকে ৫–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল।

৬৮,৫০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট আর্নস্ট-হাপেল স্টাডিওনে বুর্শেন নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ফ্রাঙ্কো ফোডা এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বায়ার লেভারকুজেনের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় জুলিয়ান বাউমগাটলিঙ্গার

অস্ট্রিয়া এপর্যন্ত ৭ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৫৪ ফিফা বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান অর্জন করা, সেখানে তারা উরুগুয়েকে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রিয়া এপর্যন্ত ৩ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে উয়েফা ইউরো ২০০৮ এবং উয়েফা ইউরো ২০১৬-এর গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করা।

টনি পলস্টার, আন্ডি হেরৎসোগ, গেরহার্ড হানেপি, মার্কো আরনাওতোভিচ এবং হান্স ক্রাংকেলের মতো খেলোয়াড়গণ অস্ট্রিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রিয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১০ম) অর্জন করে এবং ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১০৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অস্ট্রিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১ম (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৩৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৭৫। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
২২ অপরিবর্তিত  ইউক্রেন ১৫৫৩.৩৫
২৩ অপরিবর্তিত  দক্ষিণ কোরিয়া ১৫৫০.৬৫
২৪ অপরিবর্তিত  অস্ট্রিয়া ১৫৪৬.১
২৫ অপরিবর্তিত  অস্ট্রেলিয়া ১৫৩৯.২২
২৬ অপরিবর্তিত  সুইডেন ১৫৩০.১৯
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৬ বৃদ্ধি  ইউক্রেন ১৮৫০
১৭ হ্রাস  মরক্কো ১৮৪৮
১৮ বৃদ্ধি ১৬  অস্ট্রিয়া ১৮৩৫
১৯ বৃদ্ধি  হাঙ্গেরি ১৮৩৪
২০ বৃদ্ধি  ইরান ১৮২৯

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য

[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]
ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ প্রত্যাখ্যান
ইতালি ১৯৩৪ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ৪র্থ
ফ্রান্স ১৯৩৮ প্রত্যাখ্যান
ব্রাজিল ১৯৫০ প্রত্যাখ্যান প্রত্যাখ্যান
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ৩য় ১৭ ১২
সুইডেন ১৯৫৮ গ্রুপ পর্ব ১৫তম ১৪
চিলি ১৯৬২ প্রত্যাখ্যান প্রত্যাখ্যান
ইংল্যান্ড ১৯৬৬ উত্তীর্ণ হয়নি
মেক্সিকো ১৯৭০ ১২
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ ১৫
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ দ্বিতীয় পর্ব ৭ম ১০ ১৪
স্পেন ১৯৮২ ৮ম ১৬
মেক্সিকো ১৯৮৬ উত্তীর্ণ হয়নি
ইতালি ১৯৯০ গ্রুপ পর্ব ১৮তম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ১৫ ১৬
ফ্রান্স ১৯৯৮ গ্রুপ পর্ব ২৩তম ১০ ১৭
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ১০ ১৪
জার্মানি ২০০৬ ১০ ১৫ ১২
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০ ১০ ১৪ ১৫
ব্রাজিল ২০১৪ ১০ ২০ ১০
রাশিয়া ২০১৮ ১০ ১৪ ১২
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ৭/২১ ২৯ ১২ ১৩ ৪৩ ৪৭ ১২৩ ৫৯ ২৮ ৩৬ ২১২ ১৩৬

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]